কবিতার জন্যে সবচেয়ে বড় কথা হলো কবিতাকে মানুষের হৃদয়ের কাছে যেতে হয়। তবেই কবিতা বেঁচে থাকে। কবিতা তো নিছক কিছু ভালো লাগা শব্দের স্তূপ নয়। নিশ্চল প্রতিমা বা গথিক নয়। শুধুমাত্র ছন্দকুশলীর কারুকাজও তো নয় কবিতা। মননের ও চেতনার কঠিন-কঠোর আরাধনা তার রূপে রূপান্তর আনে। তার আদলে লাবণ্যের স্নিগ্ধতা ছড়িয়ে দেয়। আবার এই কবিতাকে মানুষের কাছে অনেক কিছু শিখে নিতে হয়। মানুষের ভেতর আশার প্রতীক হয়ে ওঠার এক অবিস্মরণীয় অভিজ্ঞতা কবিকে মানুষের কাছ থেকেই আহরণ করতে হয় প্রতিনিয়ত। বাংলাদেশের কবিতার এই রূপবদলের গভীর মেলায় নানামাত্রিক মানবীয় ছায়া ও দূরাগত মায়ার সন্নিপাত ঘটেছে হাফিজ রশিদ খানের কবিতার শরীরে। এই জনপদের বহুকালের সহজিয়া জীবনধারা, উতল মরমি উৎসব, তার ভেতরকার আনন্দ-বেদনা ও ঐতিহ্যের রঙ, উজাড় ভালোবাসা আর হেলা-অবহেলার শাব্দিক চিত্রকল্প গাঁথা হয়ে আছে কবিতাগুলোতে।
রাতে আমার পেখম মেলে
হাফিজ রশিদ খান