বাংলাদেশের নগরায়ন দ্রুতগতিতে এগিয়ে চলেছে — কিন্তু এই নগরায়ণ কি সভ্য, পরিবেশবান্ধব ও মানবিক?
“নগরায়ন ও নগর সরকার” বইটিতে তোফায়েল আহমেদ ও বিধান চন্দ্র পাল বিশ্লেষণ করেছেন নগরায়নের প্রকৃত চিত্র, চ্যালেঞ্জ ও সম্ভাবনা। ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন সিটি করপোরেশন নিয়ে বিস্তারিত বিশ্লেষণের পাশাপাশি তুলনামূলকভাবে দিল্লি, মুম্বাই, লন্ডন ও লকতা মহানগরের অভিজ্ঞতাও আলোচিত হয়েছে।
📚 নগর উন্নয়ন, নগর শাসন সংস্কার এবং আধুনিক নগর ব্যবস্থাপনা নিয়ে যারা ভাবেন, তাদের জন্য এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রামাণ্য গ্রন্থ।
 
বইয়ের ফ্ল্যাপ
সমকালীন বিশ্বে নগরের বিস্তৃতি ও ব্যাপকতা একটি অন্যতম ও উল্লেখযােগ্য বাস্তবতা। একটি বর্ধনশীল সমাজ ও রাষ্ট্র হিসেবে বাংলাদেশও এ | ধারায় স্বাভাবিকভাবেই সম্পৃক্ত। নগরায়ণ মানেই সমাজের বিভিন্নমুখী রূপান্তর। নতুন সমাজ, সভ্যতা ও নবতর জীবনপ্রণালী। আধুনিকতা ও বিশ্বজনীনতায় অবগাহন। ঐতিহ্যগত শিল্প–সাহিত্য–সংস্কৃতির সাথে বিজ্ঞান–প্রযুক্সি মেলবন্ধন । কিন্তু বাংলাদেশের নগরায়ণ, নগর শাসন ও নগর সরকারে অধুনিকতার পরিবর্তে এক ধরনের আদিমতার আগ্রাসন। যা নগরকে ইট, বালি–সিমেন্টের–জঙ্গলে পরিণত করেছে। এমনি একটি সময়ে সভ্য সংস্কৃত সমাজ বিনির্মাণের উপযোগী নগর শাসন প্রতিষ্ঠার প্রত্যয়ে বাংলাদেশের নগরায়ণ ও নগরশাসন নিয়ে একটি প্রাণবন্ত ও তথ্যবহুল আলোচনা। এখানে বাংলাদেশের নগরায়ণ প্রক্রিয়ার কিছু খুঁটিনাটি তথ্য বিশ্লেষণ যেমন রয়েছে, তেমনি থাকল ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ ও কুমিল্লা সিটি করপোরেশন নিয়ে তিনটি পৃথক অধ্যায় । এছাড়া সংযোজিত হলো বরিশাল, খুলনা, রাজশাহী, ঢাকা উত্তর, ঢাকা দক্ষিণ, গাজীপুর প্রভৃতি সিটির নেতৃত্বের প্রতি ও প্রকার সম্পর্কে একটি বিশ্লেষণ । তাই তুলনামূলক দৃষ্টিভঙ্গি সৃষ্টির সুবিধার্থে লকতা, দিল্লী, মুম্বাই ও লন্ডন মহানগর নিয়ে সংক্ষিপ্ত বর্ণনা । সবশেষে যুগের চাহিদার নিরিখে এসে নগরশাসন সংস্কারের কিছু দিক নির্দেশনা। এ বিষয় ও বিশেষত নগর শাসন নিয়ে বলা হয়, এটিই অন্যতম উদ্যোগ। বইটি নগর ও গবেষক ও বাংলাদেশে আধুনিক নগর খেতে আগ্রহী সাধারণ পাঠয়ে হহহ মেটাবে।