top of page

একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধ তথা বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের শেষ প্রান্তে এসে যখন চূড়ান্ত বিজয়ের দ্বারপ্রান্তে বাংলার দামাল ছেলে-মেয়ে ও  মুক্তিযোদ্ধারা; ঠিক সেই সময়ে মিত্রশক্তি হিসেবে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে সহযোগিতার কৌশল ও শর্ত নিয়ে প্রথমে সেপ্টেম্বর মাসে সোভিয়েত-ভারত মৈত্রী চুক্তি সম্পাদনের পরপরই এই চুক্তির ধারাবাহিকতায় আরেকটি ৭ দফা চুক্তি বাংলাদেশ-ভারত মৈত্রী চুক্তি অক্টোবরের প্রথম দিকেই সম্পাদন করা হয়। (উল্লেখ্য, বাংলাদেশ-ভারত মৈত্রী চুক্তির ক্ষমতা বলেই সরাসরি ভারত সরকার ৬-ডিসেম্বর, ১৯৭১ বাংলাদেশের অভ্যন্তরে ঢুকে পাকিস্তানি বাহিনীর বিরুদ্ধে যুদ্ধে লিপ্ত হয়)। অত্যন্ত প্রাজ্ঞ, প্রবীণ, রাজনৈতিক দার্শনিকতায় পারঙ্গম মওলানা ভাসানী সম্ভবত এই চুক্তির লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য নিয়ে অশুভ কোনো কিছুর আভাস পেয়েছিলেন।  তাই হয়তো অত্যন্ত উৎকণ্ঠিত ও বিচলিত হয়ে মাত্র আঠারো দিনের ব্যবধানে একই বিষয়ে স্বাধীন-সমাজতান্ত্রিক বাংলাদেশের সাথে ভারতের কনফেডারেশন গঠনের প্রস্তাব দিয়ে পরপর দুটি ব্যক্তিগত পত্র ভারতের প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীকে প্রেরণ করেন। বলা যায়, একটি অপরটির তাগিদ-পত্র মাত্র।

ব্যতিক্রমী ধারার কথাসাহিত্যিক, গবেষক, প্রবীণ সাংবাদিক আরেফিন বাদল অত্যন্ত নিষ্ঠার সাথে নির্মোহভাবেই বিভিন্ন তথ্য-উপাত্তের আলোকে এই গ্রন্থে প্রমাণ করতে সক্ষম হয়েছেন, মওলানা ভাসানীর এই রাজনৈতিক-রণকৌশল বিশ্বদরবারে স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশের পতাকা তুলে ধরতে সহায়ক ভূমিকা পালনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে।

মুক্তিযুদ্ধ একাত্তর বাংলাদেশ-ভারত মৈত্রী চুক্তি: ভাসানীর কনফেডারেশন থিওরি

400.00৳ Regular Price
300.00৳Sale Price
Quantity
  • আরেফিন  বাদল

Socials

Related Books

bottom of page