মন কথা বলে। যে তারে বহন করে সে পড়ে যায় যখন তখন পথেঘাটে। বড় এলোমেলো। সে থাকে অপ্রস্তুত। মন ঘুমায় না। জেগে থাকে অহর্নিশ। জঠরে চলে আসে, জানের জান। সেই থেকে নির্ঘুম তার আচরণ বিচরণ-বিভাস অভ্যাস। কত প্রশ্ন। রাজ্যের বোঝা। কোথায় রাখে! সময় সীমিত। তাড়াহুড়ার শেষ নেই।
ফেরেস্তাগণ বিধাতাকে প্রশ্ন করে না। প্রশ্ন করে না কেউ আর। কি প্রাণী কি-বা জড়ো। সবাই তারা নিজেতে নিজে নিমগ্ন। মনে তাদের জাগে না প্রশ্ন। কি অদ্ভুত!
জিজ্ঞাসার অসংখ্য বীজ মনের চাতালে। মনের বনের গাছা-আগাছার গহিন অরণ্যে খুঁজে ফিরি কারে? প্রশ্নের জবাব নেই। উথাল পাথাল সব। হৃদয়টা ফাঁকা ফাঁকা। খা খা করে। বুঝ নেই। অবুঝ যত কিছু আঁকাঝুঁকা। অর্থ কি? যে যেমন বোঝে।
হয়ত আলাপ, হয়ত প্রলাপ। সার অসার একাকার। নিজের দ্বন্দ্বে নিজে অন্ধ। ঝুলে সিদ্ধান্ত ধ্যানের ফাঁসিতে। মন বাগানের ফুলের গন্ধে, বাগান নিজেই নিস্তেজ ঘুমায়, আর জাগে না। সে দিকে কেউ দেখে না। তাই বলি একটু চোখ বুলিয়ে দেখুন হাজার গীতিকবিতা কার কথা কয়।
হাজার গীতি কবিতা : দ্বিতীয় খণ্ড
মুহম্মদ মাহবুব উল ইসলাম