আরেফিন বাদল লিখছেন ষাটের দশক থেকে। সময়ের তুলনায় তাঁর লেখার সংখ্যা কম মনে হলেও লেখালেখির যতটা কাজ তিনি করেছেন, তা করেছেন অত্যন্ত নিষ্ঠার সঙ্গে। সমসাময়িক সমাজ, রাজনীতি, হতাশা, ব্যর্থতা এবং সম্ভাবনার দিকগুলোর সুস্পষ্ট প্রতিফলন ঘটে তাঁর সৃষ্টিশীল কাজে। জীবন এবং শিল্পের সীমারেখা একাকার হয়ে যায় তাঁর প্রতিটি লেখায়। যার ফলে তাঁর সৃষ্টিতে আবেগ এবং লেখার উপজীব্য। যার ফলে তাঁর সৃষ্টিতে আবেগ এবং উচ্ছ্বাসের আতিশয্য লক্ষ করা যায় অনেক সময়। জীভন ও সমাজের প্রতি বিশ্বস্ততা-মানুষের প্রতি দায়বোধ আরেফিন বাদলকে লেখকদের মধ্যে এক বিশেষ অবস্থানে ব্যাপক গ্রহণযোগ্যতা গড়ে ওঠে পাঠক এবং বোদ্ধাদের মধ্যে। বর্তমান সময়ে অনেক লেখকই যখন জনপ্রিয়তার সোনার হরিণকে ধরার জন্য বল্গাহারা অশ্বের মতো ছুটে বেড়াচ্ছে, ঠিক তখন আরেফিন বাদল লেখালেখি করেন হৃদয়ের টানে; সমাজ ও মানুষের জন্য। যখন অন্তর থেকে কোনো বিষয়ে তাগিদ আসে, শুধু তখনই কলম ধরেন তিনি। বিশ্ব মানবতা এবং খণ্ডিত এবং নিষ্পেষিত সমগ্র বাঙালি জাতির কল্যাণবোধে উদ্ধুদ্ধ আরেফিন বাদলের মতো মতো লেখকের সংখ্যা যত বাড়ে, ততই বাঙালি জাতির জন্য মঙ্গল।
এ গল্পগ্রন্থটি প্রকাশনার দায়িত্ব নিয়ে আমরা লেখকের সামাজিক অঙ্গীকারের প্রতি একাত্মতা প্রকাশ করেছি মাত্র।
এই যুদ্ধ সেই যুদ্ধ মুক্তিযুদ্ধের গল্প
আরেফিন বাদল