গণতন্ত্র নিয়ে বহু বিতর্ক, বহু চিন্তা। উইনস্টন চার্চিলের বিখ্যাত উক্তির মতোই, গণতন্ত্র হয়তো সর্বোত্তম নয়—কিন্তু অন্য বিকল্পগুলোর তুলনায় অনেক বেশি মানবিক ও গ্রহণযোগ্য।
“গণতন্ত্র, নির্বাচন ও সুশাসন” বইটিতে ড. বদিউল আলম মজুমদার বিশ্লেষণ করেছেন গণতন্ত্রের মৌলিক চেতনা, ন্যায়সংগত নির্বাচন ও কার্যকর সুশাসনের অপরিহার্য শর্তগুলো। কেন গণতন্ত্রে জনগণের অংশগ্রহণ অপরিহার্য, কীভাবে সুশাসনের মাধ্যমে রাষ্ট্রের স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা যায়, এসব প্রশ্নের বাস্তবভিত্তিক উত্তর দিয়েছেন লেখক।
📚 বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে গণতন্ত্র ও সুশাসন নিয়ে যারা পড়াশোনা করছেন তাদের জন্য এই বইটি অবশ্যপাঠ্য।
বইয়ের ফ্ল্যাপ
সাবেক ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ও নোবেল বিজয়ী স্যার উইনস্টন চার্চিল বহু বছর আগে বলেছেন, “পাপ এবং দুঃখের এ পৃথিবীতে বহু ধরনের সরকার পদ্ধতির চর্চা করা হয়েছে এবং ভবিষ্যতেও তা করা হবে। কিন্তু কেউই সাফাই গাইবেন না যে, গণতন্ত্র সবচেয়ে উত্তম কিংবা সর্বাধিক প্রজ্ঞাবান পদ্ধতি। বস্তুত এটি বলা হয় যে, গণতন্ত্র সবচেয়ে খারাপ পদ্ধতির সরকার, তবে যে সকল পদ্ধতির চর্চা করা হয়েছে তার তুলনায়।” নিঃসন্দেহে এই উক্তি গণতন্ত্রের পক্ষে সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ প্রশংসাপত্র।
গণতন্ত্র সম্পর্কে এমন ধরনের উচ্ছ্বসিত প্রশংসার অবশ্যই যৌক্তিকতা রয়েছে। কারণ গণতন্ত্র হলো, আব্রাহাম লিংকনের ভাষায়, জনগণের সরকার, জনগণের দ্বারা ও জনগণের জন্য। গণতন্ত্রের মাধ্যমেই জনগণের আত্মনিয়ন্ত্রণের অধিকার প্রতিষ্ঠিত হয়। তাদের 'লিবার্টি' বা স্বাধীনতা নিশ্চিত হয় এবং প্রতিবাদের অধিকার স্বীকৃত হয়। আরও স্বীকৃত হয় সমতার অধিকার। এছাড়াও সত্যিকারের গণতন্ত্রে প্রতিষ্ঠিত হয় জনগণের কার্যকর অংশগ্রহণ। বস্তুত স্বশাসন, স্বাধীনতা, সমতা ও মৌলিক বৈশিষ্ট্যের অন্তর্ভুক্ত।
গণতন্ত্র, নির্বাচন ও সুশাসন
ড. বদিউল আলম মজুমদার

















