গ্রিক নাটকের অমর রচয়িতা সোফোক্লিসের “আন্তিগোনি” এক মহাকাব্যিক ট্র্যাজেডি— যেখানে ধর্মীয় কর্তব্য আর রাষ্ট্রের আদেশের মধ্যে পড়ে এক নারীর আপসহীন প্রতিবাদ হয়ে ওঠে সাহসের প্রতীক। যুদ্ধবিধ্বস্ত থিবি শহরে, রাজা ক্রেয়নের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া সম্পন্ন করে আন্তিগোনি। এ বইতে প্রেম, মৃত্যু ও ন্যায়বোধ এক ভয়াবহ সংঘর্ষের রূপ নেয়।
📖 নাট্যরসিক ও চিন্তাশীল পাঠকদের জন্য এক অপরিহার্য অনুবাদ, যা প্রাচীন নাটককে নতুনভাবে বোঝার পথ খুলে দেয়।
বইয়ের ফ্ল্যাপ থেকে:
মঞ্চের পর্দা উঠতেই আমরা আন্তিগোনি ও ইসমিনির সংলাপ থেকে জানতে পারি, নতুন রাজা ক্রেয়ন দেশরক্ষার লড়াইয়ে নিহত তাদের এক ভাই এতেওক্লিসকে যথাযোগ্য সম্মানের সঙ্গে সমাধিস্থ করেছে। কিন্তু বিদেশি শক্তি নিয়ে দেশ আক্রমণকারী ভাই পলিনিকিসের মরদেহকে কবর দেওয়ার বিরুদ্ধে সে জারি করেছে এক নিষ্ঠুর নিষেধাজ্ঞা: নগরবাসী পলিনিকিসের মৃত্যুতে শোক-বিলাপ করতে পারবে না; সমাধিবঞ্চিত অবস্থায় মাটির ওপরে পড়ে থেকে পচবে সেই দেহ; কুকুর আর শকুন ছিন্নভিন্ন করবে সেই লাশ। ইসমিনি নিজের প্রাণ বিপন্ন হওয়ার ভয়ে রাজার ডিক্রি মুখ বুজে মেনে নিতে চাইলেও আন্তিগোনি এই ধর্মবিরোধী আদেশ পালনে বিদ্রোহ করে। প্রহরীদের চোখ ফাঁকি দিয়ে রাতের অন্ধকারে সে ভাইয়ের মরদেহের ওপর ছিটিয়ে দেয় মাটি, পালন করে অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ার আচার-অনুষ্ঠান ।
কিন্তু ঘটনাক্রমে আন্তিগোনির তৎপরতা ক্রেয়ন জানতে পারে । গ্রেপ্তার । আন্তিগোনি এখন মৃত্যুদরে মুখোমুখি । পাহাড়ের অন্ধকার এক গুহা-প্রকোষ্ঠে বন্দি সে । আর মাত্র কয়েকটা দিন পরেই ক্রেয়নপুত্র হাইমনের সঙ্গে তার বাসরশয্যায় যাওয়ার কথা ছিল! এর বদলে মৃত্যু কি আজ তার শয্যাসঙ্গী হতে যাচ্ছে?
প্রেমিক হাইমন পার্বত্যগুহায় ছুটে যায় জীবন্ত সমাধি থেকে আন্তিগোনিকে উদ্ধারের জন্য। প্রাণপণে পাথরের স্তুপ সরিয়ে সে দেখে এক ভয়ংকর দৃশ্য! তারপর ঘটতে থাকে নির্মম সব ঘটনা- একটির পর আরেকটি। যুদ্ধবিধ্বস্ত থিবির আকাশে আরো একবার দেখা দেয় অশনিসংকেত।
আন্তিগোনি
সোফোক্লিস

















