‘ভবিষ্যতের অ্যান্টিবায়োটিক’ বইটি একটি অভিনব হাইপোথিসিসের উপর ভিত্তি করে লেখা, যেখানে বলা হয়েছে—প্রতিটি অণুজীব নিজেই অ্যান্টিবায়োটিক উৎপাদন করতে পারে যা একদিকে তাকে বাঁচাতে পারে আবার ঘনমাত্রার ওপর নির্ভর করে তার জন্যই বিষাক্ত হয়ে উঠতে পারে। বইটি বিশ্লেষণ করে এই অ্যান্টিবায়োটিক কিভাবে অন্যান্য অণুজীবের বৃদ্ধিতে সাহায্য করতে পারে এবং অ্যান্টিবায়োটিক রেজিস্ট্যান্স মোকাবিলায় সহায়ক হতে পারে। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, বায়োঅ্যাসে, ফার্মাকোলজি ও কম্পিউটেশনাল কেমিস্ট্রি নিয়ে ভবিষ্যতের অ্যান্টিবায়োটিক আবিষ্কারে নতুন পথ দেখায় এই গ্রন্থ। গবেষক, শিক্ষক, ছাত্র ও স্বাস্থ্য বিজ্ঞানীদের জন্য এটি এক মূল্যবান সহায়ক গ্রন্থ।
বইটি লেখকের হাইপোথিসিসের ওপর ভিত্তি করে রচিত। এতে ধারণা করা হয়েছে, প্রতিটি অণুজীব নিজের জন্য অ্যান্টিবায়োটিক তৈরি করতে সক্ষম, যা তার নিজের বেঁচে থাকার জন্য সহায়ক হতে পারে, কিন্তু নির্দিষ্ট ঘনমাত্রায় এটি তার জন্য বিষাক্ত হয়ে উঠতে পারে। একই অ্যান্টিবায়োটিক অন্য অণুজীবের বৃদ্ধিতে সহায়তা করতে পারে। এই ধারণা থেকে বিজ্ঞানীরা নতুন ধরনের অ্যান্টিবায়োটিক আবিষ্কার করতে সক্ষম হবেন, যা একাধিক জীবাণুর বিরুদ্ধে কার্যকর হবে এবং অ্যান্টিবায়োটিক রেজিস্ট্যান্স মোকাবিলায় সহায়ক হবে। বইটি অণুজীবের নিজস্ব অ্যান্টিবায়োটিক ও বাইডাইরেকশনাল কার্যকলাপের মাধ্যমে ভবিষ্যতে অ্যান্টিবায়োটিকের সম্ভাবনার ওপর আলোকপাত করে লেখা হয়েছে। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, জৈবসমতা, কম্পিউটেশনাল কেমিস্ট্রি, ফার্মাকোলজি, ফার্মাকোডাইনামিক্স, ফার্মাকোকিনেটিক্স, বায়োঅ্যাসে এবং আধুনিক প্রযুক্তির সাহায্যে অ্যান্টিবায়োটিক আবিষ্কারের প্রক্রিয়া কীভাবে ত্বরান্বিত হতে পারে, তাও বিশ্লেষণ করা হয়েছে। বইটি গবেষক, শিক্ষক, ছাত্র এবং স্বাস্থ্য বিজ্ঞানীদের জন্য এক মূল্যবান রেফারেন্স হতে পারে, যা তাদের ভবিষ্যতের অ্যান্টিবায়োটিক গবেষণায় নতুন দৃষ্টিভঙ্গি প্রদান করবে।
ভবিষ্যতের অ্যান্টিবায়োটিক
ড. মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম ভূঁইয়া