তালুকদারের আকস্মিক মৃত্যুর পর পরিবারের স্বজনরা জানতে পারে, বিপুল অর্থসম্পদ সিন্দুকে রেখে গেছেন তিনি। সিন্দুকের চাবি কাজের মেয়ে আলাের কাছ থেকে উদ্ধারের পর দেখা যায় সিন্দুক ফাকা। উত্তরাধিকারীদের মধ্যে কনিষ্ঠ রতন সিন্দুকের হারানাে ধন উদ্ধারে অভিযানে নামে। স্বার্থপরতা, লােভ, সন্দেহ ও অবিশ্বাসের কশাঘাতে ধসে পড়তে থাকে পারিবারিক সম্পর্কের ভিত। নাগরিক জীবনের ব্যর্থতা ও একাকিত্বের জ্বালা থেকে মুক্তি খোজে রতন। একাত্ম হতে চায় প্রিয় জন্মভূমি ও গ্রামীণ জনমানুষের সঙ্গে। আলাে খুন হওয়ার পর আইনের নিজস্ব গতি আড়াল করে রাখে প্রকৃত অপরাধীকে। কিন্তু অপরাধবােধ থেকে মুক্তি পায় না রতন। সংসারের সবকিছু গরিব-দুঃখীর মাঝে বিলিয়ে দিয়ে মুক্তির আনন্দ খোজে মা। সরলপ্রাণ মায়ের সামাজিকতায় উৎসাহিত রতন শিকড়ের সঙ্গে সম্পৃক্ত থেকে আত্মপ্রতিষ্ঠার নতুন পথ খোজে। স্বপ্নের সাথি হিসেবে কাছে আসে সাহানা। কিন্তু স্ত্রী-সন্তানকে কাছে পেয়ে একা ও অসহায়বােধ করে কেন রতন? শাসরুদ্ধকর গােয়েন্দা কাহিনির আদলে গড়ে ওঠা এ উপন্যাসের পরতে পরতে লুকিয়ে আছে সময়ের ভালাে-মন্দ ও পাপ-পুণ্যের আলাে-আঁধারিতে আবৃত রহস্যময় জীবনে প্রবেশের এক শৈল্পিক চাবি।
সিন্দুকের চাবি
মঞ্জু সরকার

















