বিশ্বসাহিত্যের সেরা মঞ্চ—নোবেল বক্তৃতা। এই অনুবাদ গ্রন্থে সংকলিত হয়েছে দশটি নোবেল বক্তৃতা, যেখানে ধরা পড়েছে নানা ভাষা, অঞ্চল ও সাহিত্য প্রবণতার শিল্প ও চিন্তার গভীর প্রতিফলন।
অনুবাদক পলাশ মাহমুদ ও সম্পাদক সাখাওয়াত টিপু বইটিকে শুধু অনুবাদের সীমানায় সীমাবদ্ধ রাখেননি—তাঁরা সাহিত্য অনুধ্যানের দৃষ্টিকোণ থেকে পাঠকদেরকে বিশ্বসাহিত্যের গভীরে প্রবেশ করাতে চেয়েছেন। অনুবাদের মাধ্যমে যে কেবল ভাষান্তর নয়, বরং শিল্পরস, বোধ ও দৃষ্টিভঙ্গির রূপান্তর ঘটে—এই বইটি তার এক উজ্জ্বল উদাহরণ।
বইয়ের ফ্ল্যাপ
যতই মতান্তর থাকুক না কেন, অপর ভাষা ও সাহিত্যের পরিচয়ের অন্যতম মাধ্যম হচ্ছে অনুবাদ। অনুবাদ যেমন বিশ্বসাহিত্যে প্রবেশের প্রধান উপায়, ঠিক তেমনি অনুবাদের মাধ্যমে অপর ভাষার সাহিত্যের সঙ্গে আপন ভাষার তুলনামূলক চেহারা দেখতে পাওয়া যায়। অনুবাদ মূলত ভাবের ভাবান্তর, অর্থের অর্থান্তর, ভাষার রূপান্তর আর সৌন্দর্যের পরাগায়ন ঘটায়। এটি নিছক এক ভাষা থেকে অপর ভাষার বদল নয়, সাহিত্যের সৃষ্টিশীল চিন্তার দৃষ্টিভঙ্গিকেও প্রসার করে। সাহিত্য চিন্তার এই প্রতিফলন ভাষার সম্ভাবনাকে বাড়িয়ে তোলে। এক ভাষা থেকে অপর ভাষার অনুবাদ তুলনামূলকভাবে সাহিত্যের বিশ্ব দুয়ার খুলে দেয়। প্রতিধ্বনি একাধিক নোবেল বক্তৃতার বাংলা কপিরাইট পেলেও নানা বিবেচনায় দশটি বক্তৃতা গ্রন্থভুক্ত করেছে। যাতে নানা মহাদেশ, নানা ভাষা, নানা চিন্তা, নানা প্রবণতার সাহিত্য আর শৈল্পিক চিন্তার রূপকে আস্বাদন করা যায়। ‘নির্বাচিত নোবেল বক্তৃতা’ বইটি পাঠকের সেই সাহিত্যের শিল্পরস আস্বাদনের খোরাক যোগাবে।
নির্বাচিত নোবেল বক্তৃতা
পলাশ মাহমুদ