বিদ্রোহ পুরাণ — আধুনিক বাংলার প্রতিবাদী কবিতার এক অনবদ্য সংযোজন। ফ্যাসিবাদ, স্বৈরাচার ও সর্ববাদী ধর্মীয় ক্ষমতার বিরুদ্ধে দাঁড়িয়ে এক সাহসী কণ্ঠস্বর। কবিতায় ফুটে উঠেছে অসমতার বিরুদ্ধে বিদ্রোহ, ভালোবাসার আহ্বান এবং প্রাণময়তার জয়গান। এ এক চিরকালীন প্রতিরোধের কবিতা, যা পাঠককে দেবে প্রতিবাদের অনুপ্রেরণা।
বইয়ের ফ্ল্যাপ
কুয়াশার মতো নীরবতা ঝরিয়ে পড়ছে
টের পাই না আমি, বহুকাল পেরিয়েছে
বহুপথ ঘুরে পড়ে ছিলাম রাস্তার ধারে
পেয়েছি কি দেখা, কত রঙের পাতা!
সীমাহীন ক্ষমতা, কোনপথে আমার দাঁড়িয়ে থাকা!
ভেতরটা আমার বারুদে বিদ্রোহে তাপে একাকার;
শোক করো না যেন আবার-
অসম্ভবসম ক্ষমতার গ্রাস তোমার,
খেয়ে ফেলেছে হৃদয় আমার-
বল না এতটা স্বৈরাচার হওয়ার কী দরকার?
বল না এতটা ফ্যাসিস্ট হওয়ার কী দরকার?
বল না কী দরকার এই সর্ববাদী ধর্মীয় হাতিয়ার তোমার?
এই রেসিপি কার? এই রেসিপি কার? এসব ঠেকাও এবার-
জাগো, জেগে উঠো, আওয়াজ তোলো সমতার, প্রাণময়তার; ভালোবাসার-
নয়তো, আমার কল্লাটা ফেলে দাও এবার।
আমি নিশাচর হণ্টক, রাত-বিরাতে হেঁটে বেড়াই সীমাহীন অমানিশায় দিগি¦দিক
খোলা প্রান্তর- অবারিত সুযোগ তোমার
আমি পুড়ে পুড়ে ছাই- আর কী চাই?
হয়েছে কি প্রস্তুত গিলোটিন তোমার?
নীল নীল হেমলক কিংবা বিষাক্ত বুলেট?
চাও কি ছন্দে ছন্দে মহাআনন্দে মিলি পরিচিত ট্রেনের চাকায়?
তবে মিটাও তোমার রক্তের স্বাদ এবার।
তবু মনে রেখো,
চিরহরিৎ বনে আমি পড়ে রব বারবার,
এই মাটি-প্রাণ চির কবিতার।
বিদ্রোহ পুরাণ
নুরে আলম দুর্জয়