জীবনদর্শন ও জীবনবোধের অনুপম সৌন্দর্যে শিল্পায়িত মানুষের দর্পিত অহংকারের চলমান চিত্র অযুত পাঠশালা। এতে প্রাথমিক শিক্ষার অঙ্গন থেকে নেওয়া গুটিকতক নরনারী উপাত্ত বিষয়। তবে দেশ কাল পাত্র সমসাময়িকতাকে এড়িয়ে যাওয়া সত্যই দুরূহ, কাহিনির আবর্তে তারা আপন বেগে এসে পড়েছে।
নারীর অন্তর্জাত সলিলে অবগাহন করে মানবশিশুর প্রথম পাঠ অনানুষ্ঠানিক থেকে আসে আনুষ্ঠানিক পথে যেমনটি বন্যেরা বনে সুন্দর, শিশুরা মাতৃক্রোড়ে। আমাদের দেশে বিলম্বে হলেও প্রাথমিক শিক্ষা মেয়েদের হাতে পুরোপুরিভাবে না হলেও কিছুটা এসেছে। আশাকরি, একদিন সবটাই যেমন শিক্ষা প্রশাসন, পরিদর্শন ও পরিচালনা ইত্যাদিও সম্পূরক হিসেবে এসে যাবে। কিন্তু পরিতাপের বিষয় হল, সুচারুরূপে দায়িত্ব পালনের পথ রয়েছে অসম প্রতিবন্ধকতায় সমাকীর্ণ। মেয়েদের কোথায়ও সক্রিয় অংশগ্রহণ হয় না, হচ্ছে না এবং মেয়েরা করছেও না। এ কারণে কোনো অধিকতর অংশগ্রহণে গণতান্ত্রিক পথে বলিষ্ঠ পদক্ষেপে ওরা এগিয়ে যেতেও পারছেনা।
মহীয়সী বেগম রোকেয়া পুরুষশাসিত সমাজ ব্যবস্থায় মেয়েদের জন্য স্বাধীনতার একটি রূপরেখা রেখে গিয়েছেন, তিনি বলেছেন, ‘মেয়েদের স্বাধীনতার অর্থে পুরুষের ন্যায় উন্নত অবস্থা বুঝিতে হইবে।’ কালের কপোল বেয়ে কত যে অশ্রু গড়িয়ে গেল মেয়েদের সেই উন্নত অবস্থা স্বপ্নসাধ সাধনার বিষয়।
অযুত শাঠশালা
রওশন সালেহা

















