জুলাই ক্যালাইডোস্কোপ — হাসনাত আবদুল হাই-এর লেখা ইতিহাসভিত্তিক রাজনৈতিক উপন্যাস। ২০২৪ সালের ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানকে কেন্দ্র করে রচিত এই উপন্যাসে উঠে এসেছে সামাজিক অসন্তোষ, আন্দোলন, সংগ্রাম এবং হাজারো প্রাণের আত্মত্যাগে গড়ে ওঠা একটি নতুন রাজনৈতিক বাস্তবতা। ইতিহাসের কাঠামোয় রচিত, কল্পনার আলোকে রঙিন, এই উপন্যাস হয়ে উঠেছে সময়কে অতিক্রম করার এক অনন্য সাহিত্যিক মহাকাব্য। যারা বাংলা সাহিত্যের রাজনৈতিক উপাখ্যান পড়তে আগ্রহী, তাদের জন্য এটি অবশ্যপাঠ্য।
শুরু হয়েছিল ছাত্রদের ইস্যু— কোটা সংস্কার আন্দোলন দিয়ে, কয়েক বছর আগেও যেমন হয়েছে। কিন্তু এবারের, ২০২৪-এর আন্দোলনের ভেতর ছিল আরও অনেক অসন্তোষ আর ক্ষোভের বীজ, যার জন্য এর পরিণতি ছিল ইতিহাসের বাঁক বদলের মহাযজ্ঞে। এখানে এক পর্বে এসে ছাত্র-জনতা একাকার হয়ে গড়ে তোলে দুর্বার অভিযাত্রা, যার অন্তর্নিহিত লক্ষ্য ছিল গণমানুষের মুক্তি এবং সামষ্টিক কল্যাণের জন্য রাষ্ট্রীয় কাঠামোর সংস্কার ও প্রতিশ্রুতির সনদ রচনা।
হাজার প্রাণের আহুতি ও স্বার্থত্যাগের বিনিময়ে যে অর্জন, তা আমাদের জাতীয় জীবনের বাঁক বদলের মাইলফলক হিসাবে ইতিহাসের অন্তর্গত হয়ে গিয়েছে। এখানে সৃষ্টি হয়েছে অনেক কিংবদন্তি। জুলাই আন্দোলনের অনন্য ইতিহাস বিধৃত হয়েছে এই উপন্যাসে, মূলত বাস্তবের কাঠামোয়, কোথাও কল্পনার ব্রাশস্ট্রোকে। একে বলা হয়েছে—
ইতিহাসের উপন্যাস, উপন্যাসের ইতিহাস।
এপিকের মতো এই উপন্যাসের কাহিনি শুরু সমকালে, যার ডানা সুদূরপ্রসারী হয়ে প্রসারিত মহাকালের দিকে।
জুলাই ক্যালাইডোস্কোপ
হাসনাত আবদুল হাই