বাংলা সাহিত্য কেবল ইতিহাস নয়—এ এক প্রাণময় যাত্রা, আর সেই যাত্রাকে অনবদ্য ভাষায় তুলে ধরেছেন হুমায়ুন আজাদ তাঁর বিখ্যাত বই “লাল নীল দীপাবলি বা বাংলা সাহিত্যের জীবনী”-তে।
⏳ কাহ্নপাদ থেকে রবীন্দ্রনাথ, নজরুল থেকে সেলিনা হোসেন—সবার কথা আছে এখানে।
📚 পদাবলি, মঙ্গলকাব্য, উপন্যাস, নাটক, গল্প, প্রবন্ধ—সব ঘরানার সাহিত্য উঠে এসেছে জীবন্তভাবে।এই বই কেবল বাংলা সাহিত্যের একটি সহজপাঠ নয়, এটি নিজেই এক সাহিত্যকর্ম—রঙে, প্রেমে, বিদ্রোহে ভরা।
ছোট থেকে বড় সব পাঠকের জন্য এটি হতে পারে সাহিত্যের আলোর একটি দীপাবলি।
বইয়ের ফ্ল্যাপ লেখা:
হাজার বছর আগে আমাদের প্রথম প্রধান কবি, কাহ্নপাদ, বলেছিলেন: নগর বাহিরে ডোম্বি তোহোরি কুড়িআ। তাঁর মতো কবিতা লিখেছিলেন আরো অনেক কবি। তাঁদের নামগুলো আজ রহস্যের মতো লাগে: লুইপা, কুক্কুরীপা, বিরুআপা, ভুসুকুপা, শবরপার মতো সুদূর রহস্যময় ওই কবিদের নাম। তারপর কেটে গেছে হাজার বছর, দেখা দিয়েছেন অজস্র কবি, ঔপন্যাসিক, প্রাবন্ধিক, নাট্যকার, গল্পকার। তাঁরা সবাই মিলে সৃষ্টি করেছেন আমাদের অসাধারণ বাংলা সাহিত্য। বাংলা সাহিত্য চিরকাল একরকম থাকেনি, কালে কালে বদল ঘটেছে তার রূপের, তার হৃদয়ের। সৃষ্টি হয়েছে নতুন নতুন সৌন্দর্য। মধ্যযুগে কবিরা লিখেছেন পদাবলি। লিখেছেন মঙ্গলকাব্য। উনিশ শতকে বাংলা সাহিত্য হয়ে ওঠে অপরূপ অভিনব। তখন কবিতায় ভরপুর বাংলা সাহিত্য দেখা দেয় গদ্য, বাংলা সাহিত্য হয়ে ওঠে ব্যাপক ও বিশ্বসাহিত্য। বিশ শতকের বাংলা সাহিত্যের শোভার কোনো শেষ নেই। বাংলা সাহিত্যের অনেক ইতিহাস লেখা হয়েছে, আর কবি হুমায়ুন আজাদ বাংলা সাহিত্য নিয়ে লিখেছেন লাল নীল দীপাবলি বা বাংলা সাহিত্যের জীবনী, যা শুধু বাংলা সাহিত্যের ইতিহাস নয়, এটি নিজেই এক সাহিত্য সৃষ্টি। কবি হুমায়ুন আজাদ হাজার বছরের বাংলা সাহিত্যকে তুলে ধরেছেন কবিতার মতো, জ্বেলে দিয়েছেন বাংলা সাহিত্যের নানান রঙের দীপাবলি। এ বই কিশোর-কিশোরীদের, তরুণ-তরুণীদের জন্যে লেখা, তারা সুখ পেয়ে আসছে এ বই প’ড়ে, জানতে পারছে তাঁদের সাহিত্যের ইতিহাস; এবং এ বই সুখ দিয়ে আসছে বড়োদেরও। লাল নীল দীপাবলি বা বাংলা সাহিত্যের জীবনী এমন বই, যার সঙ্গী হ’তে পারে ছোটোরা, বড়োরা, যারা ভালোবাসে বাংলা সাহিত্যকে। বাংলার প্রতিটি ঘরে আলো দিতে পারে এ –বই।
লাল নীল দীপাবলি বা বাঙলা সাহিত্যের জীবনী
হুমায়ুন আজাদ

















