ড. আবদুন্ নূর ১৯৫২ সালের একুশে ফেব্রুয়ারি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে উপস্থিত ছিলেন এবং মেডিক্যাল কলেজ ব্যারাক হোস্টেল লক্ষ্য করে গুলি চালানোর সাক্ষী হয়েছিলেন। তিনি তাঁর প্রত্যক্ষ অভিজ্ঞতা এখানে বয়ান করেছেন। একই সঙ্গে বাংলা ভাষা এবং সংস্কৃতি নিয়ে সে সময়ে এদেশের মানুষের চিন্তা, আবেগ, মনোস্তত্ত্ব এসব লেখায় পাওয়া যাবে। এর সঙ্গে রবীন্দ্রনাথ নিয়ে একটি দুর্লভ বিষয়ের আলোকপাত করেছেন— যা আমাদের প্রায় অজানা। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনাকালে, অর্থাৎ ১৯৫৬ সাল থেকে সংবাদপত্রে দুহাতে গল্প ও উপন্যাস লিখেছেন। ঢাকা বেতার ও টেলিভিশনে প্রচারিত হয়েছে তাঁর লেখা নানা কথিকা ও নাটক। মঞ্চস্থ হয়েছে বাংলা একাডেমি মঞ্চে, কার্জন হলে এবং ঢাকা বেতারের উন্মুক্ত মঞ্চেও। সেগুলোর কিছু কিছু ইউটিউবে এখনো পাওয়া যায়। চার দেয়াল, শিকড়, মধ্যসমুদ্রে জাহাজ এখনো প্রদর্শিত হয়।
ড. আবদুন্ নূর মোট উপন্যাস লিখেছেন পাঁচটি। তার মধ্যে পেগাসাস ধরে এনেছে ইংরেজ শাসকদের আমলে দুই শতাব্দীর ভারত তথা বাংলা থেকে চুক্তিবদ্ধ দাস রপ্তানি প্রথা এবং পশ্চিম ভারতীয় দ্বীপপুঞ্জে তাদের দ্বন্দ্বমুখর জীবনযাপন। শূন্য বৃত্ত-এ বিধৃত হয়েছে আমেরিকায় প্রবাসী বাঙালির আত্মপরিচয়ের সংগ্রাম। বিচলিত সময় তুলে ধরেছে সতেরো শতাব্দীর শত শত বাঙালি লেখক ও কবিদের বাংলা ভাষাকে রক্ষার প্রয়াস ও সংগ্রাম।
রক্তস্নাত একুশে
আবদুন্ নূর